শ্রী অজয় কুমার চৌধুরী

নন-এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর

শ্রী অজয় কুমার চৌধুরী ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে (আরবিআই) তিন দশকের বেশি সময় ধরে থাকা এক উজ্জ্বল কর্মজীবন কাটানো স্বনামধন্য সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কার। তিনি 2023 সালের অক্টোবর মাসে এই সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসাবে সদা নিয়োজিত দায়িত্ব শেষ করেছেন। ব্যাঙ্কিং-এর বিধিনিয়ম, তত্বাবধান ও ফিনটেকের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রী চৌধুরীর প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ড ও কৃতিত্ব রয়েছে এবং ব্যাঙ্কের বেসাল III ফ্রেমওয়ার্কের মতও বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী নির্দেশিকা প্রস্তুত ও প্রয়োগ করার কাজে সহায়তা করেছেন, তত্বাবধানমূলক ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়ার প্রয়োগ ও গঠনগত পরিবর্তনের দায়িত্বে ছিলেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রয়োগকাজে যুক্ত থেকেছেন।

শ্রী চৌধুরী আরবিআই-এ নিজের বহুমুখী ভূমিকায় কাজ করার সময় দক্ষতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন, যেমন ব্যাঙ্কিং বিধি নিয়মের তদারকি, কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট, পেমেন্ট ও নিষ্পত্তির তত্বাবধান এবং কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক অফিসে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তার নেতৃত্ব ফিনটেক বিভাগ, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও পরিদর্শন বিভাগের মত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগেও সম্প্রসারিত হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সির (সিবিডিসি) প্রয়োগ, ক্রিপ্টো অ্যাসেট সংক্রান্ত কৌশল প্রস্তুতি, ফিন-টেক বিষয়ক সম্ভাব্য নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা গঠন, টেক-স্প্রিন্ট ও রেগুলেটরি স্যান্ডবক্সের কার্যকরীকরণ, আরবিআই ইনোভেশন হাব এবং ফিন-টেকের সমস্ত দিকের সর্বাঙ্গীন তত্বাবধান করার মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তিনি আরবিআই-এর উন্নয়নমূলক ও উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। শ্রী চৌধুরীর একটি সার্থক অবদান হল ফ্রিকশনলেস ক্রেডিটে প্ল্যাটফর্মের প্রয়োগে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, যেখানে আর্থনৈতিক ক্ষেত্রের মধ্যে উদ্ভাবন ঘটানোর প্রতি তার সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়।

শ্রী চৌধুরী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিত্ব করেন। বিসিবিএস-এর আয়োজিত ভারতের রেগুলেটরি কনসিস্টেন্সি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (আরসিএপি) সফলভাবে আয়োজন করা আরবিআই দলের তিনি নেতৃত্ব দেন এবং আরসিএপি-এর আন্তর্জাতিক দলগুলিতে ও বিভিন্ন আইনগত অধিকার ক্ষেত্রের অন্যান্য কাজেও অংশগ্রহণ করেন। তিনি মরিশাসের ব্যাঙ্ক অফ মরিশাসে ডিরেক্টর অফ সুপারভিশন পদেও কাজ করেন, যেখানে তার দায়িত্ব ছিল ব্যাঙ্ক, নন-ব্যাঙ্ক ডিপোজিট টেকিং ইন্সটিটিউশন ও ফোরেক্স ডিলারদের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা।

দিল্লী ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ফিজিক্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেছেন, এছাড়া সার্টিফায়েড অ্যাসোসিয়েট অফ ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স (সিএআইআইবি) সহ বিভিন্ন পেশাদারী যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কিছু গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন যেমন, কাউন্টারসাইক্লিকাল ক্যাপিটাল বাফার, সভরেন অ্যাসেটের ক্যাপিটাল রিকোয়ারমেন্ট, ভারতে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলির ডিফল্ট অভিজ্ঞতা, কর্পোরেটের দেউলিয়া অবস্থা ও ভারতের ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে তার প্রভাব।